সেই অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে নিয়ে যা বললেন হেফাজত মহাসচিব

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে মাদ্রাসাছাত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যা ইতিহাসের জঘন্যতম একটি ঘটনা। সিরাজ উদ্দৌলা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তার এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ হয়েছি।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক (বারডেম) হাসপাতালে চিকিৎসারত হেফাজতের ওই শীর্ষ নেতা উপমহাদেশের অন্যতম হাদিসবিশারদ আল্লামা বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী ইন’আমুল হাসান ফারুকীর প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক জীবনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের (রা.) সঠিক আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারে না তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া অনুচিত। এরা শিক্ষক হওয়ার অযোগ্য। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তারা হুমকিস্বরূপ।

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বাবুনগরী বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হচ্ছে না বলে দেশে অপরাধের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে হবে।

নুসরাত হত্যার তদন্ত সঠিকভাবে করার আহ্বান জানিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার এ সহকারী মহাপরিচালক বলেন, দেশে আইনের যথাযথ প্রয়োগ থাকলে তা এ যাতীয় নৃশংস অপরাধ অনেকটা কমে যেত। আমরা সংবাদমাধ্যমে জেনেছি, নুসরাতের মামলায় পুলিশ যথাযথভাবে সহায়তা করছে না। প্রশাসনিক লোকদের অবহেলা মেনে নেয়া যায় না।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি, যাতে আগামীতে এমন হিংস্রতা দেখানো সাহস আর কেউ না পায়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর