ফেসবুকে কল্যাণে দুই বধির হলো প্রিয় বন্ধু!

ফেসবুক নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন উত্তর ফ্লোরিডার নিক অ্যাবট। আর হুট করেই নিউজ ফিডে ভেসে আসে একটি সারমেয়র ছবি। মিশকালো ল্যাব্রাডার, নাম তার ইমারসন। আর বধির ইমারসনের সেই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল, নর্থ ফ্লোরিডা রেস্কিউ দলের তরফে। ভালবাসার মানুষ আর ভালবাসা মাখা একটা বসতবাড়ির খোঁজে ছিল ছোট্ট ইমারসন।

আর এই ইমারসনকে দেখা মাত্রই জেদ চেপে যায় নিক অ্যাবটের। অন্য কোনও সারমেয় হলে চলবে না! এই ইমারসনকেই তাঁর চাই। কারণ, দু’জনের মধ্যে নাকি একটি মিল রয়েছে। নিকের কথায়, “আমি ওকেই চেয়েছিলাম, কারণ আমাদের দু’জনের মধ্যে মিল রয়েছে। আমি জানি একজন বধির হওয়ার অসুবিধাটা কোথায়! আমিও বধির, ইমারসনও বধির। ওকে একমাত্র আমিই খুব ভালকরে বুঝতে পারব।”

হ্যাঁ, এই বধির বন্ধু ইমারসনের খোঁজ পেয়ে আকুল পাগলপারা অবস্থা হয়েছিল আর এক বধির নিক অ্যাবটের। কিন্তু NFR অর্থাৎ নর্থ ফ্লোরিডা রেস্কিউ টিমের কর্তারা বধির ইমারসনের মালিকের খোঁজ পেতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। তবে মনের মধ্যে একটু কিন্তু কিন্তু কাজ করছিল অ্যাবটের। কারণ, তাঁর বাড়িতে ইতিমধ্যেই রয়েছে একটি হলদে সাত বছরের ল্যাব্রাডার। তাঁর কথায়, “আমি ঠিক করেছিলাম, একবার অন্তত দেখা করে আসব ওর সঙ্গে। আমি যাওয়া মাত্রই দেখি ও আমার পায়ের নীচে বসে পড়ল। ঠিক যেন কতদিনের চেনা-জানা আমাদের। ঠিক সেই মুহূর্তেই আমি ঠিক করে ফেলি যে ওকে আমি নিয়ে যাব।”

ইমারসনকে এখন ট্রেনিং দিতে ব্যস্ত অ্যাবট। ইশারার মাধ্যমে সাড়া কীভাবে দিতে হয়, তার নারীনক্ষত্র অ্যাবটের কাছে শিখে নিচ্ছে ইমারসন। অ্যাবট বলছেন, “আগে কখনও বধির সারমেয়র সান্নিধ্যে আমি আসিনি। আমরা দুজনে একসঙ্গেই জীবনের চলার পথটা ঠিক করে শিখে নেব।”

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর