মেয়ের মাঝেই নিজের স্বপ্ন দেখেন বাবা

বয়স মাত্র আট। চোখে মুখে শৈশবের অপার্থিব আলো। বলা হচ্ছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর দুরন্ত মেয়ে মাহিয়া আক্তার সেতুর কথা।

বাবার স্বপ্ন ছিলো ক্রিকেটার হবার। তা পূরণ হয়নি। কিন্তু মেয়েকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা করেছেন সোহেল রানা। তাই এই বয়সেই ব্যাট-প্যাডের সঙ্গে গড়ে উঠেছে সেতুর সখ্যতা।

ক্রিকেটের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই। কিন্তু প্রতিভা থাকলে জয় করা সম্ভব যে কোনো প্রতিবন্ধকতা। তাই তো বাবার কাছ থেকেই ক্রিকেটের দীক্ষা নিচ্ছেন সেতু। খেলছেন বয়সে বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে। নাগেশ্বরীর মত এলাকায় নারী ক্রিকেট কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও, সেতু ও তার বাবার স্বপ্নটা আকাশ ছোঁয়া। ‘আমি বড় ক্রিকেটার হতে চাই। আমার আব্বাও চায় আমি বড় ক্রিকেটার হই।’ বলছিল সেতু। বাবা সোহেল রানা বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমি প্রাকটিস করাচ্ছি খেলা দেখে দেখে। ওকে যদি ভালো প্রশিক্ষণ দেয়া যায় তাহলে ও ভালো একটা ক্রিকেটার হবে।’

সেতুর ক্রিকেট প্রতিভায় মুগ্ধ স্থানীয়রা। সঠিক কোচিং আর দিক নির্দেশনা পেলে একদিন জাতীয় পর্যায়ে খেলবে এই শিশু কন্যা, বিশ্বাস তার খেলার সাথীদের। এক কিশোর বলল, সেতুর বাবা আমাদের ব্যাট বল কিনে দেন। আমরা ওকে সঙ্গে নিয়ে খেলি। সেতুর নৈপুণ্য নজর কেড়েছে সবার। তাই জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে দেয়া হয়েছে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস।

কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবু মোঃ সাঈদ হাসান লোবান বলেন, ‘তার যদি পরিচর্যা করা যায় তাহলে শুধু কুড়িগ্রাম জেলারই নয়, বাংলাদেশের একটা সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হিসেবে সে তৈরি হবে। তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।’

ক’বছর আগে জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ক্রিকেট খেলা অন্তর্ভুক্ত হবার পর নাগেশ্বরীর কিছু স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট চর্চা শুরু হলেও, তা এখন ঝিমিয়ে পড়েছে। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে, জাহানারা-রুমানাদের মত সেতুও একদিন বিশ্বমঞ্চ মাতাবে, সে স্বপ্ন দেখাই যায়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর