শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার আলোচিত ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৩) কে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ২ সন্তানের জনক উজ্জল মিয়া (৪০) অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। ১৫ মে বুধবার দুপুরে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন প্রার্থনা করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ সুলতানা উভয় পক্ষের শুনানী শেষে উজ্জল মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল হক নিশ্চিত করে জানান, চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী হওয়ায় পুলিশের তাড়া খেয়েই সে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু মামলার স্পর্শকাতরতাসহ ভিকটিমের জবানবন্দি ও ডাক্তারী পরীক্ষার প্রতিবেদন বিবেচনায় জামিনের আবেদন নাকচ করে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ মে দুপুরে শ্রীবরদী উপজেলার গোশাইপুর ইউনিয়নের শংকরঘোষ গ্রামে শংকঘোষ এ জুব্বার আলী দাখিল মাদ্রাসা পড়–য়া ওই ছাত্রীর বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে উজ্জল মিয়া তাকে একটি ঘরে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের হলেও এতদিন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ধর্ষক উজ্জল মিয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।