শেরপুরে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহতের ঘটনায় গ্রেফতার ৩

তারিকুল ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহতের ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩০ জুন রোববার সন্ধ্যায় হামলায় আহত ছাত্রলীগ কর্মী জুন্নুন তানভিরের মা এশা সিদ্দিকা বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শেরপুর পৌর শহরের মীরগঞ্জ মহল্লার আমজাদ হোসেনের ছেলে আনিস মিয়া (৩২), সদর উপজেলার চরশেরপুর দড়িপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৯) ও আব্দুল জলিলের ছেলে মনিরুল হাসান (২২)। পরে গ্রেফতারকৃতদের রোববার সন্ধ্যায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রোববার সন্ধ্যায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ২৯ জুন শনিবার দুপুরে জেলা শহরের তিনআনী বাজার এলাকার টিভিএস মোটরসাইকেল শোরুমের সামনে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত জুন্নুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মচিমহা) প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের ধরে জহির রায়হান, আব্দুল কুদ্দুছ মোয়াজ, নয়ন তালুকদারসহ এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা রড, এসএস পাইপ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রথমে জুন্নুন তানভির ও পরে আশরাফুলের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেন। এতে তাঁরা গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে ছাত্রলীগ কর্মী জুন্নুন তানভির ও আশরাফুল ইসলামের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে শেরপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের নেতা দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে রোববার দুপুরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা এ মিছিল করেন। মিছিলশেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ নেতা দ্বীন ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম।

সমাবেশে বক্তারা ছাত্রলীগের শেরপুর সরকারি কলেজ শাখার অবৈধ কমিটি বাতিল, জুন্নুন তানভির ও আশরাফুলের ওপর বর্বরোচিত হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সেইসঙ্গে কলেজে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু পরিবেশ ফিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।

জেলা ছাত্রলীগের একজন সাবেক নেতা সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত শনিবার জুন্নুন ও আশরাফুলের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর