যুবলীগের নবগঠিত কমিটি প্রকাশিত, সংগঠনকে গতিশীল করার আহবান

আবদুর রহমান, রামগঞ্জ(লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান অভিনন্দন জানিয়ে নতুন কমিটির নেতাদের সঙ্গে তোলা ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের একটি যৌথ ছবি ফেসবুকে আপলোড করেছেন। গত বুধবার (২৬ জুন) কমিটি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।

কমিটিতে সাবেক কমিটির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক ও লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ সদস্য সৈকত মাহমুদ শামছুকে আহ্বায়ক, রামগঞ্জ থানা কমিউনিটি পুলিশিং সেল এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও দরবেশপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কাছ মাষ্টারের সন্তান সাইদুর রহমান মামুন এবং সাবেক সফল ছাত্রনেতা ও রামগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মোজাম্মেল হককে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়।

রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক মো: ইমান হোসেন তার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হওয়ায় দরবেশপুরের সন্তান সাইদুর রহমান মামুনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান তার প্রতিক্রিয়ায় সাইদুর রহমান মামুনকে যুবদলের নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করে তাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মেনে নেবে না, প্রয়োজনে আমরা গণপদত্যাগ করবো বলে হুমকি দিলেও সাইদুর রহমান মামুন বলেন, আমার পরিবারের লোকজন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে।

তবে আমি বিগত দিনে ছাত্রলীগের কোন গুরুত্বপূর্ন পদে ছিলাম না। যুবদলের নেতা হিসেবে আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালানো হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সাইদুর রহমান মামুন যুবদলের কমিটিতে রয়েছে বলে ফেসবুক মাধ্যম থেকে জানতে পারলেও কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে পারেনি। তবে মামুন রামগঞ্জ থানা কমিউনিটি পুলিশিং সেলের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে জেলা যুবলীগ। তাই সংগঠনকে গতিশীল করতে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং শীঘ্রই সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, রামগঞ্জে নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে। মামুনের বিরুদ্ধে একটি পক্ষ লেগেছে। তার যুবদলের কমিটিতে থাকার কথা প্রচার করে তাকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হলেও সে যে কমিউনিটি পুলিশিং সেলের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সামাজিক কাজ করছে তা প্রচার করা হচ্ছে না। আবার মামুন যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাও প্রচারনায় আসছে না।

২০১৬ সালে এমরান হোসেন এমুকে আহবায়ক, সৈকত মাহমুদ শামছু ও মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া সুমনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ১৭ মে এমরান হোসেন এমু মৃত্যুবরণ করলে দীর্ঘদিন সৈকত মাহমুদ শামছু ও মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূঁইয়া দায়িত্ব পালন করেছিল।

রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা দৈনিক বর্তমান লক্ষ্মীপুরকে বলেন,চলমান বাস্তবতায় সৈকত- মামুন ও মোজাম্মেলকে দিয়ে কমিটি গঠন করা সঠিক হয়েছে তবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আরাফাত এবং উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সাবেক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূঁইয়াকে সম্পৃক্ত করলে কমিটি আরো সমৃদ্ধ হতো।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর