দেড় যুগ কলেজে উপস্থিত না থেকেও বেতন উত্তোলন করে শিক্ষক

পাবনার সাঁথিয়ায় ১৮ বছর যাবৎ কলেজে উপস্থিত না থেকেও সরকারী এবং বেসরকারী অংশের বেতনের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ।

অভিযোগে জানা যায়, সাঁথিয়্ াউপজেলার মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখার প্রভাষক কামরুজ্জামান যার শিক্ষক এনডেক্্র নং-৮৩১৯৫৮। তিনি দীর্ঘ ১৮/১৯ বছর যাবৎ কলেজে না এসে ওই সময়কার অধ্যক্ষের সহযোগিতায় সরকারী ও বেসরকারী শাখার বেতন উত্তোলন করেন প্রভাবশালী ওই শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুজ্জামান ওই কলেজের পাশাপাশি পাবনায় বেসরকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ারে মোটা অংকের বেতনে চাকরী করে আসছেন। কলেজ শাখা শুক্রবার খোলা থাকায় সপ্তাহে ওই এক দিন এসে পুরো সপ্তাহের স্বাক্ষর করে যান তিনি।

সরজমিন গত রবিবার ওই কলেজে গিয়ে হাজিরা বহিতে তার স্বাক্ষর দেখা গেলেও প্রভাষক কামরুজ্জামানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ওই কলেজের দপ্তরীকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, স্বাক্ষর করেই তিনি চলে গেছেন। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা জানান, তারা শিক্ষক কামরুজ্জামানকে চেনেন না।

সাঁথিয়া মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান জানান, আমি এক বছর যাবত এই কলেজে নিয়োগ পেয়েছি। নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বার বার কামরুজ্জামানকে ক্লাসে ফিরতে অনুরোধ করেছি। তাতে কাজ না হওয়ায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক কামরুজ্জামানকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেছি। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দেবার কথা থাকলেও এপর্যন্ত তা দেননি।

অভিযুক্ত প্রভাষক কামরুজ্জামানকে কলেজে না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি জানান, কলেজ ছাড়াও অন্য কোম্পানীতে পার্ট টাইম চাকরী করতাম, তবে কলেজে এখন নিয়মিত হয়েছি।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে তা তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর